সেই আশ্চর্য লোকটি
বিমল কর
অনেকদিন আগেকার কথা, অন্তত বছর পঁয়ত্রিশ।
আমার তখন পনেরো–ষোল বছর বয়স। ঠাকুমা আর ছোটকাকার সঙ্গে কাশী গিয়েছিলাম বেড়াতে, ফেরার
সময়ে এমন একটা কাণ্ড ঘটেছিল যার কোন অর্থ আমরা কেউই খুঁজে পাইনি। আজও পাই না।
কোন গাড়ি কী তার নাম ছিল, আজ আমার
কিছু মনে নেই। দুপুর নাগাদ আমরা কাশী থেকে মোগলসরাই স্টেশন এসে রেলে চড়েছিলাম। তখন
ওইদিককার রেলের নাম ছিল ই আই আর, মানে ইস্ট ইণ্ডিয়ান রেলওয়ে। এখনকার মতন মাত্র দুটো
ক্লাসও তখন ছিল না, ছিল চারটে। ফাস্ট, সেকেন্ড, ইন্টার আর থার্ড। আজকাল রেলের কামরা
মানেই যেন একটা ছোটখাটো মেলা, গিসগিস করে লোক। তখনকার দিনে এত ভিড়টিড় কোন গাড়িতেই
থাকত না, মেল এক্সপ্রেস গাড়িতেতো নয়ই।
আমাদের গাড়িটা বোধ হয় এক্সপ্রেস
গাড়ি ছিল, কেননা সব স্টেশনে থামছিল না। দুপুরের শেষদিকে গাড়িতে উঠেছি। ইন্টার ক্লাস
কামরা। জনা ছয় মাত্র যাত্রী আমাদের কামরায়। দিন দুই পরে কালীপূজা। দুর্গাপূজোর পর
গিয়েছিলাম কাশীতে, ফিরছি কালীপূজোর আগে! আসব, ধানবাদ। বাবার কাছে নিজেদের বাড়িতে।
সাসারাম এসে পৌঁছতেই সন্ধ্যে হয়ে
গেল। তখন ওদিকে শীত পড়তে শুরু করেছে সবে। ওসব দিকে পুজোর পরই শীত এসে পড়ে, হেমন্তকাল
বুঝতে বুঝতেই কখন যেন জব্বর শীত এসে যায়। সাসারামে শের শাহের সমাধি শুনেছি। গাড়ি
যখন সাসারামে এসে পৌঁছল তখন এত অন্ধকার যে আমার চোখে বাইরের কিছুই ধরা পড়ল না। এমন
কী স্টেশনটাও যেন টিমটিম করছে।
সাসারাম থেকে গাড়ি ছাড়ার সময় একজন
ভদ্রলোক এসে গাড়িতে উঠলেন। গায়ে লম্বা রেলের কোট, ওভারকোট ধরনের, পরেনে রেলের প্যান্ট।
গলায় একটা রুমাল জড়ানো। মাথায় বারান্দা মার্কা রেলের টুপি। মাথায় বেশ লম্বা।
ভদ্রলোক যখন উঠলেন, গাড়িটা তখন ছাড়ছিল।
উনি ওঠার সঙ্গে সঙ্গে কামরার বাতিগুলো দপ করে নিবে গেল। অবশ্য কয়েক মুহূর্ত পরেই আবার
জ্বলে উঠল। উনি কামরায় উঠেই এদিক-সেদিক তাকিয়ে সোজা বাংকে উঠে শুয়ে পড়লেন। জুতো
সমেত। শুয়ে পড়ে মাথার টুপিটা এমন করে মুখের ওপর চাপা দিলেন, মনে হল কামরার আলো যেন
চোখে না লাগে সেই ব্যবস্থা করে নিলেন। যেটুকু দেখলাম ভদ্রলোককে, বুঝতে পারলাম রেলের
লোক, অ্যাংলো ইণ্ডিয়ান। আমার বাবা রেলের চাকুরে। ছেলেবেলা থেকে রেলের লোক দেখতে দেখতে
মনে একটা আন্দাজ হয়ে গিয়েছে, গোমো আর ধানবাদে অজস্র অ্যাংলো ইণ্ডিয়ান দেখেছি যারা
রেলেই কাজ করে। ভদ্রলোকের কত বয়েস তা ঠিক বুঝতে পারিনি, তবে আমার ছোট কাকার চেয়ে
নিশ্চয় বড়।
গাড়ি চলতে শুরু করল। একটা বেঞ্চিতে
আমরা। ঠাকুমা, ছোটকাকা আর আমি। আর এক বেঞ্চিতে এক বেহারী ভদ্রলোক শুয়ে ছিলেন, তিনিও
কাশী ফেরত, সঙ্গে বিস্তর মালপত্র। অন্য বেঞ্চিতে এক সাধুবাবা, সঙ্গে তার কোন মারোয়াড়ী
শিষ্য। সাধুবাবার গায়ে গেরুয়া বস্ত্র, এইমাত্র, নয়ত তিনি একেবারে সাধারণ মানুষের
মতন, হিন্দিতেই কথাবার্তা বলছিলেন। বিড়ি টানছিলেন।
আমার কাকা ট্রেনে উঠলেই ঢুলতে শুরু
করেন। সন্ধে হয়েছে দেখে কাকাও মাথার ওপর বাংকে চড়ে বসলেন। ঠাকুমা বোধ হয় জপতপ শুরু
করল মনে মনে। আমি চুপচাপ একা। বাইরে তাকালেই অন্ধকার আর অন্ধকার। মাঝেমাঝে এঞ্জিনের
ধোঁয়া এসে যেন নাকে লাগছে, কয়লার গুঁড়ো উড়ছে; আর থেকে থেকে ধোঁয়ার সঙ্গে আগুনের
ফুলকি জোনাকির মতন অন্ধকারে ছিটকে পড়ছে।
এইভাবে শোন্ নদী পেরিয়ে গেলাম। কী
বড় ব্রিজ। ট্রেন ছুটছে, ছুটতে ছুটতে গয়াও এসে গেল, তখন রাত হয়ে গিয়েছে। গয়া থেকে
গাড়ি ছাড়ল। খাওয়া-দাওয়া শেষ আমাদের। কাকা আবার বাংকে উঠে ঘুম লাগালেন। বেহারী ভদ্রলোক
খাওয়া শেষ করে ঢেঁকুর তুলতে লাগলেন বড়–বড়। সাধুবাবা শিষ্যসমেত গয়ায় নেমে গেছেন।
নতুন কেউ চড়েনি।
সেই অ্যাংলো ইন্ডিয়ান ভদ্রলোক কিন্তু
একইভাবে শুয়ে আছেন। ঘুমাচ্ছেন নিশ্চয়। ট্রেনে রেলের বহুলোকই যাতায়াত করে এক স্টেশন
থেকে অন্য স্টেশনে। কাজকর্মে যায়, কাজ শেষ করে বাড়ি ফেরে। কাজেই ভদ্রলোক সম্পর্কে
আমার কোন কৌতূহল হয়নি।
গয়া আর কোডারমার মধ্যে কোডারমার আগে
মস্ত জঙ্গল। নামকরা জঙ্গল। বিহারে এত বড় জঙ্গল খুবই কম। লোকে বলে গুরপা-গুঝাণ্ডির
জঙ্গল। দিনের বেলাতেও এই জঙ্গলের অর্ধেক জায়গায় আলো রোদ ঢোকে না। রেল লাইন পাতার
সময় এই জঙ্গলের আরও ভয়ঙ্কর চেহারা ছিল। রেলের কুলি লাইনের অনেকেই নাকি বাঘটাঘের পেটে
গিয়েছে এখানে।
রেলের দুটো স্টেশনই আছে, গুরপা আর
গুঝাণ্ডি। এই পাহাড়ি জায়গাটুকুর চড়াই ভাঙতে বাড়তি একটা এঞ্জিন জুড়তে হয়, একটা
এঞ্জিন টানতে পারে না।
আমার ঠিক মনে পড়ছে না কোডারমা থেকে
গয়ার দিকে আসার সময়, না গয়া থেকে কোডরমার দিকে যাবার সময় দুটো এঞ্জিন লাগে। যখনই
লাগুক তাতে এ গল্পে কোন ক্ষতি নেই। কেননা তখনকার দিনে বাড়তি এঞ্জিনটা একবার যেমন যেত
অন্যবার ফিরে আসত। আবার যেত।
ডবল এঞ্জিন জুড়ে গাড়িটা ছাড়ল। রাতও
হয়ে গিয়েছে। জঙ্গলের মুখে ঢুকে বেশ শীত-শীত লাগছিল। কাচের জানালাটা বন্ধ করে দিলাম।
চারদিকে ঘুটঘুট করছে অন্ধকার; গাছপালা আর অন্ধকার মিশে সে এক এমন জগৎ যা চোখে সওয়া
যায়না বেশীক্ষণ। তবু গুরপা গুঝাণ্ডির আসল জঙ্গল তখন শুরু হয়নি, তেমনি নিবিড় নয়
গাছপালা।
যেতে যেতে গাড়িটা হঠাৎ থেমে গেল।
সব রেলগাড়িই মাঝে-মাঝে বেজায়গায়
থেমে যায়। হয় সিগন্যাল না, না হয় অন্য কোনো গোলমাল হয়; কেন যে থামে যাত্রীরা বুঝতেও
পারে না।
গাড়িটা থামার পর সামান্য সময় চুপচাপ
কেটে গেল। ভাবছি, এই ছাড়বে। গাড়ি আর ছাড়ে না। হঠাৎ শুনি এঞ্জিনের হুইসেল বাজছে তারস্বরে।
বাজছে তো বাজছেই।
বেহারী ভদ্রলোক জেগে ছিলেন, বললেন,
‘লাইনের ওপর নিশ্চয় বাঘ বসে আছে। সরছে না।’
রেল লাইনের ওপর বাঘ বসে থাকে, এঞ্জিনের
অত জোরালো আলোয় নড়ে না, শব্দতেও, আমার জানা ছিল না।
আমার কাকাও দেখি বাংক থেকে নেমে এলেন।
ব্যাপারটা কী হচ্ছে বোঝার জন্যে জানালা খুলে দিলাম। দেখি গার্ডসাহেবের হাতের সেই লাল
সবুজ লণ্ঠন ঝুলিয়ে সামনের এঞ্জিনের দিকে এগিয়ে চলেছেন। তাঁর সঙ্গে দু’একজন খালাসী
ধরনের লোক বোধহয় পেছনের এঞ্জিনের। লাইনের পাশ দিয়েই যাচ্ছে সবাই।
আমাদের মতন আরও অনেকে গলা বাড়াচ্ছে
কামরার মধ্যে থেকে। গাড়ির বাইরের দিকের আলো পড়েছে সামান্য, ভেতরের আলোও জানালা দিয়ে
বাইরে পড়ছিল আবছাভাবে।
আমার কাকা আর বেহারী ভদ্রলোক নানা
রকম কথা বলতে লাগলেন। ঠাকুমা একটু শুয়েছে। সেই অ্যাংলো ইণ্ডিয়ান ভদ্রলোক কিন্তু বাংকের
ওপর পড়ে পড়ে ঘুমোচ্ছন। টুপিতে মুখ ঢাকা।
গাড়ি আর ছাড়ে না।
ঠিক যে কতক্ষণ কাটল তাও বুঝতে পারলাম
না। শেষে দেখি গাড়ির দরজা খুলে অনেকেই নামতে শুরু করেছে। নেমে যে যার কামরার পা-দানির
কাছে দাঁড়িয়ে। নানা রকম গলা শোনা যাচ্ছে। জঙ্গলের মধ্যে কারও সাহস নেই দু’পা এগিয়ে
কিছু জেনে আসবে।
আমার কাকাও দরজা খুলে নীচে নামলেন।
আরও কিছুক্ষণ কেটে গেল। কী যে হচ্ছিল তাও বুঝতে পারছিলাম না।
শেষ পর্যন্ত বেশ শোরগোল পড়ে গেল।
কেমন করে যেন দু-চারটে টর্চও বেরিয়ে গেল। লাইনের পাশ দিয়ে যাতায়াত করতে লাগল কেউ
কেউ। গার্ড সাহেব শেষ পর্যন্ত ফিরতে লাগলেন। লোকে খোঁজ খবর নিচ্ছে, হল কী?
কাকা একটু এগিয়ে গিয়েছিলেন। খবর
নিয়ে ফিরে এসে শুকনো মুখে বললেন, সামনের এঞ্জিনের ড্রাইভার মারা গিয়েছে হঠাৎ। নাক
মুখ দিয়ে রক্ত বেরুচ্ছিল। ফায়ারম্যানদের একজন গাড়ি থামিয়ে দিয়েছে। শুনে আমি চমকে
উঠলাম। বেহারী ভদ্রলোক বললেন, ‘হায় ভগবান!’
মানুষ হঠাৎ কেমন করে মারা যায়, সে
বয়সে বুঝতাম না। এখন বুঝি। তখন বুঝতে পারিনি ড্রাইভারের সেরিব্রাল স্ট্রোক হয়েছিল।
তখন এ-সব রোগ নিরোগের কথা শোনাও যেত না।
আগে রেল এঞ্জিনের মধ্যে ড্রাইভারের
সঙ্গে কয়লা-দেওয়া জনা দুয়েক লোক ছাড়াও বোধ হয় একজন সাগরেদ থাকত ড্রাইভারের। এদেরই
কেউ গাড়ি থামিয়ে দিয়েছে। দিয়ে ঘন ঘন হুইসেল্ মেরে বিপদটা জানাচ্ছিল গার্ডকে।
এখন কী হবে? ড্রাইভার তো মারা গেল।
গাড়ী চালাবে কে? আমরা কি সারা রাত এই জঙ্গলে পড়ে থাকব?
ড্রাইভার মারা গেছে এটা কোনো রকমে
সব কামরায় প্রচার হয়ে পড়ল। তারপর একটা হই-হই। বাইরে বড় কেউ নামছে না, পাদানির তলায়
দাঁড়িয়ে আছে। গলা বাড়াচ্ছে সবাই।
এমন সময় শোনা গেল, মৃত ড্রাইভারকে
নামিয়ে ব্রেকভ্যানে তোলা হচ্ছে। দেখতে দেখতে রাত বেড়েই চলল। আমরা অসহায়ের মতন গাড়িতে
বসে আছি। ভাবছি, এই জঙ্গলে সারাটা রাত কাটাতে হবে। না জানি কী হবে!
গার্ড সাহেব বেশ চঞ্চল হয়ে পড়েছেন।
কতবার যে সামনে দিয়ে আসা যাওয়া করলেন! তারই তো যত ঝঞ্ঝাট ঝামেলা। এতগুলো যাত্রীর
জীবন-মরণ যেন তারই হাতে।
আরও খানিকটা পরে দেখি গার্ড সাহেব
প্রত্যেকটি কামরার সামনে দাঁড়িয়ে কী যেন বলে দিচ্ছেন। বোধ হয় সাবধান করে দিচ্ছেন;
বলছেন, যে যার কামরায় দরজা বন্ধ করে বসে থাকো, সকাল না হলে কিছু করার উপায় নেই।
আমাদের কামরার কাছে এলেন গার্ড সাহেব।
আধ খোলা দরজা দিয়ে উঠলেন ভেতরে। লম্বা-চওড়া চেহারা, অ্যাংলো ইণ্ডিয়ান গার্ড। বললেন,
‘আপনাদের সারারাত গাড়িতেই থাকতে হবে। সাবধানে থাকবেন। খুবই দুঃখের কথা, সামনের এঞ্জিনের
ড্রাইভার হঠাৎ মারা গেছেন।’
গার্ড সাহেব নেমে যাবার একটু পরেই
দেখি বাংক থেকে সেই অ্যাংলো ভদ্রলোক নেমে এলেন। টুপি পড়লেন এমন করে যে, মুখটা আড়াল
হয়ে গেল। ভাল করে দেখতেও পেলাম না মুখটা।
ভদ্রলোক কামরা থেকে নেমে গেলেন। তারপর
দেখি পাশের কামরা থেকে গার্ড সাহেব নামামাত্র কী সব কথাবার্তা বলছেন।
সামান্য পরে দেখলাম গার্ড সাহেব আর
সেই লোকটি সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন।
কাকা বললেন, ‘যে মারা গেছে তার কেউ
হবে।’
বেহারী ভদ্রলোক বললেন, ‘মালুম, দোস্ত....।’
ঠাকুমা বললেন, ‘দরজাটা বন্ধ করে দে।’
আমরা যখন দরজা বন্ধ করে, জানালার শার্সি
ফেলে যে যার শোবার ব্যবস্থা করছি, তখন একেবারে আচমকা হুইসেল বেজে উঠল। বার তিন। টানা
টানা। তারপরই গাড়ি আবার নড়ে উঠল।
সবাই অবাক।
কাকা বললেন, ‘লোকটা নিশ্চয় ড্রাইভার।
এ-লাইনে হরদম রেলের কত লোক আসা যাওয়া করে। যাক্ বাবা, বেঁচে গেলাম। কোডরমা তো পৌঁছই।
এই জঙ্গলে সারা রাত পড়ে থাকতে হলে মরে যেতুম।’
গুরপা-গুঝাণ্ডির জঙ্গল পেরিয়ে আমরা
কোডরমা পৌঁছালাম যখন তখন প্রায় মাঝ রাত।
স্টেশনে গাড়ি থামল। হঠাৎ শুনি প্লাটফর্মে
হই-হই। জানলা দরজা খুলে নেমে গেল অনেকে। কাকাও নেমে গেলেন। খানিকটা পরে ছুটতে ছুটতে
এসে বললেন, ‘সাঙ্ঘাতিক কাণ্ড! ওই যে লোকটা আমাদের কামরা থেকে নেমে গাড়ি চালিয়ে নিয়ে
এল, সেই লোকটা যখন গাড়ি চালিয়ে আনছিল, তখন এঞ্জিনের ফায়ারম্যানরা বয়লারের আলোয়
লোকটাকে পুরো দেখতে পেয়েছিল। এক্কেবারে মরা ড্রাইভারের মুখের মতন দেখতে। সেই মরা ড্রাইভারই।
গাড়ি থামতেই দুটো ফায়ারম্যান এঞ্জিন থেকে নেমে পালিয়েছে। লোকটাকেও আর দেখা যাচ্ছে
না।’
বেহারী ভদ্রলোক বললেন, ‘হায় রাম!’
বলে মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লেন।
আমি বললুম, ‘আর গার্ড সাহেব?’
কাকা বললেন, ‘গার্ড সাহেব ব্রেক ভ্যান
খুলে ডেডবডি নামাবার সময় মাথা ঘুরে পড়ে গেছেন। বলছেন, মরা ড্রাইভারর আর জ্যান্ত ড্রাইভারে
কে যে সত্যি আর কে মিথ্যে—তিনি বুঝতে পারছেন না।
আমার হাত-পা কাঁপছিল, গায়ের লোম খাড়া
হয়ে উঠেছে। আমি বললাম, ‘তাহলে কে গাড়ি চালিয়ে আনল?’
কাকা বললেন, ‘আমিও তো ভাবছি ভূতে তো
আর গাড়ি চালাতে পারে না! কিন্তু ফায়ারম্যানেরা বা কেন পালাবে? লোকটাই বা কেন উধাও
হবে? আশ্চর্য!’
আমার মনে পড়ল, সাসারাম স্টেশনে লোকটা
ওঠা মাত্র আমাদের কামরার আলো দপ করে নিবে গিয়েছিল।
কেন?
আপলোড: ১৮/১২/২১
No comments:
Post a Comment