ওয়ারিশ
লীলা মজুমদার
খাঁদার আর গদাইয়ের যেমনি নামের ছিরি, স্বভাবটিও তেমনি। আমাদের এই কলকাতার উপকণ্ঠে
একটা পুরানো পাড়ার আদি বাসিন্দাদের দুই বংশধর। এ গল্প চোখে পড়লে পাছে তারা অসন্তুষ্ট
হন, তাই আর রাস্তাটার নাম বললাম না। সেখানকার সব নালা গিয়ে গঙ্গায় পড়েছে, সব মোড়ে
একটা করে মোটরের কারখানা। আর পথঘাটের কথাই যদি বল, সব ভাঙা, সব পথে বাস আর প্রাইভেট
গাড়িতে পায়ে চলা দায়। বড়দাদামশাই নাক সিঁটকে বলেন, ‘যেমন দুই গুণধর, তারি উপযুক্ত
পটভূমিকাও হবে তো। আসলে ওরা মামাতো পিসতুতো ভাই। খাঁদার বাবা এ জন্মে কোন চাকরি রাখতে
পারেননি আর গদার বাবা তার শ্বশুরমশাইয়ের ওপর সব দায় চাপিয়ে সরে গেছেন। শ্বশুরবাড়ির
কেউ তার নামও করে না। না করে করে এখন প্রায় ভুলেও গেছে। নিজের বাড়ির সঙ্গে ঝগড়া
করে, কোন কালে তিনি তাদের সঙ্গে সব সম্পর্ক চুকিয়ে শ্বশুরবাড়িতে এসে উঠেছিলেন এবং
পত্রপাঠ সরেও গেছিলেন। ওর মামাতো ভাই খাঁদার দিব্যি টিকলো নাক ছিল। যখন জন্মেছিল তখন
নাকি ওই নাকের জায়গাটা সাংগু ভ্যালির মত চ্যাপ্টা ছিল, উঁচু-নিচুর বালাই ছিল না। তখন
ওই দিদিমাই নাকি দুবেলা বিশুদ্ধ ঘানির তেল দিয়ে যেখানে নাক থাকা উচিত, তার দু পাশ
দিয়ে চেপে চেপে ঠেলে ঠেলে মালিশ করে এমন বাঁশির মতো টিকলো নাক করে দিয়েছেন। অথচ ছেলের
কি তার জন্য এতটুকু কৃতজ্ঞতা দেখা যাচ্ছে? মোট কথা ওদের মা-রা সুদ্ধ বাড়ির সকলেই ওদের
মুখ দেখলে রেগে উঠতেন। আবার সারাদিন বাইরে থেকে সন্ধ্যেবেলা বাড়িতে ঢুকলেও কি নিস্তার
ছিল?
বড়দাদামশাই রেগে ওদের ভাত বন্ধ করে দিলেন। বললেন তার খরচায় কেউ টো-টো কোম্পানি
খুলতে পাবে না। এতে দুই মা কিঞ্চিৎ ঘাবড়ে গেছিলেন। কিন্তু গদাই বলল, আরে তোমরা ভাবছ
কেন? আমরা মোটর গ্যারেজে মজুরি খাটি। বেশ ভাল খাইদাই। গ্রেট বেঙ্গল মোটর ওয়ার্কসের
পেছনে একটা ঘরও পেয়েছি। সেখানেই থাকব ভাবছি। মানে ইয়ে আমাদের আত্মসম্মান বলে একটা
জিনিস আছে তো। খাঁদা ওর এক বছরের ছোট এবং বেজায় ভক্ত। সেও বলল, আছেই তো।
দুই মা তাই শুনে কাষ্ঠ হেসে বললেন, তাই নাকি? তাহলে তাই করিস। আরেকটু মাইনে
বাড়লে, আমাদেরও কিছু দিস।
এই তো ব্যাপার। এমন ব্যবহার পেলে কার না রাগ হয়? হাজার হোক দুজনেই.... হতে
পারে টেনে-টুনে মাধ্যমিক পাস করেছে তো। কেন, গ্যারেজের কাজটা খারাপ হল কীসে? তার চেয়ে
পশ্চিমাদের আপিসে কলম পেশার কাজের কি খুব বেশি সম্মান ? তোদের ওই লজঝড়ে গাড়ি বিগড়োলে
তো নিজেরা কিছুই করতে পারিস না, পয়সা দিয়ে তোক ডাকতে হয়। আমরা কিন্তু দরকার হলে
অনেক কলম পেশার কাজও করতে পারি।
অবিশ্যি এ সব হল রাগের কথা। সত্যি কি আর বড়দাদামশাইকে তুই-তোকারি করে অমন বেয়াড়া
কথা ওদের বলা সম্ভব হত? ওরা এগারো ক্লাস থেকে পালাতে পারে, তাই বলে অভদ্র তো আর নয়।
খাঁদা আরো বলল, শুনেছি তোর ঠাকুরদারা বনেদি বড়লোক ছিলেন।
এ কথা শুনে খুব আশ্চর্য হয়ে গদাই বলল, তুই কি করে জানলি? কারখানার পেছনে দড়ির
খাটিয়াতে বসে একটা প্যাকিং কেসের ওপর খুদে একটা পুরোনো জনতা স্টোভে খাঁদা চার পেয়ালা
জল আর দু-চামচ গুঁড়ো দুধের সঙ্গে এক চা-চামচ চা-পাতি আর তিন চা-চামচ চিনি মিশিয়ে ফুটোচ্ছিল।
চা-পাতি একটা ছেঁড়া রুমালে বেঁধে নিয়েছিল বলে ছাঁকনি-টাঁকনির দরকার ছিল না। ক্যান্টিনের
পরিত্যক্ত দুটি হাতলবিহীন মগে ঢেলে খাওয়া হবে। সোঁদা সোঁদা গন্ধওয়ালা এক রকম মিষ্টি
পাঁউরুটির সঙ্গে। এক টাকায় চারটে মাঝারি মাপের পাওয়া যায়।
খাঁদা বলল, মা বলছিল পিসিকে, তাদের চিঠি লিখে আমাদের একটা ব্যবস্থা করে দিতে।
তাই শুনে মহা রেগে গদাই তোতলামি করতে লাগল, ক–কেন? আমরা কি ভিখিরি না কি শিক্ষিত মধ্যবিত্ত
? তুই দুটো কড়া কথা শুনিয়ে দিলি না কেন?
খাঁদা বলল, না, মানে ভিখিরি বনবি কেন? তোর পৈত্রিক সম্পত্তিতে তো তোর ন্যায্য
অধিকার-ই আছে!
কথাটা মন্দ বলেনি খাঁদা, তবে একটা অসুবিধেও আছে। ঠাকুরদার নামধাম কিছুই জানে
না, তা খবর করবে কোথায়? এ-কথা বলতেই, খাঁদা পকেট থেকে একটা আধময়লা কাগজের টুকরো বের
করে বলল, মা পিসিকে ঐ সবই জিজ্ঞাসা করলে পিসি বলেছিল তোর বাবার নাম অসিতবরণ আচার্য,
ঠাকুরদার নাম অম্বিকাচরণ আচার্য। ওঁদের জমিদারি ছিল জলপাইগুড়ির কাছে নীলাম্বুনিধি
বলে একটা বড় পরগণায়। তার অনেকটা জঙ্গলে ঢাকা ছিল। আমি নামগুলো টুকে রেখেছিলাম।
গদাই খানিক ভেবে বলল, না রে, মন চাইছে না। বাবাকে তারা তাড়িয়ে দিয়েছিল। ওদের
সাহায্য নিতে অপমান লাগে।
খাঁদা বলল, তাড়ায়নি মোটেও। বন্ধুর জাহাজ কোম্পানীর শেয়ার কেনবার জন্য বাপের
কাছে পিসেমশাই এক লাখ টাকা চেয়েছিলেন। বাপ দেননি। বলেছিলেন আদার ব্যাপারীর জাহাজের
খবরে কি দরকার র্যাঁ। তাতে রেগেমেগে চলে এসে তোর মায়ের গয়না-গাটি বেচে, শেয়ার কিনে,
দেউলে হয়ে, শ্বশুরবাড়িতে এসে উঠে পিসেমশাই দেহ রাখলেন।
খাঁদার জ্ঞানের প্রসার দেখে অবাক হয়ে গদাই বলল, হুট করে কিছু বলতে পারছি না।
একটু ভাবা দরকার।
খাঁদা বলল, অবিশ্যি তা না করে, এখানে, কিম্বা এই রকম আরেকটা কোথাও, এইভাবে জীবন
কাটানোও যায়। এই বলে ভাঙা মগে চা ঢালতে লাগল।
বেশি ভাববার সময় পায়নি গদাই, কারণ ঠিক সেই সময়ে, একটা বাংলা খবরের কাগজ হাতে
নিয়ে কারখানার মালিক পার্বতীবাবু, গ্যারেজের দিকের টিনের দরজাটা ক্যাঁচ করে খুলে ঘরে
ঢুকলেন। গদাই তাকে আস্ত খাটিয়াতে বসতে দিয়ে বলল, এ চা আপনি খেতে পারবেন না, দাদা।
পার্বতীবাবু বললেন, ব্যস্ত হবার কিছু নেই। আমি চা খাই না, জলখাবার খেয়ে এসেছি।
কাগজে কি লিখেছে শোন: জলপাইগুড়ি জেলায় নীলাম্বুনিধির কাঠ ব্যবসায়ী অম্বিকাচরণ আচার্যের
দ্বিতীয় পুত্র অসিতবরণ, কিম্বা তিনি গত হয়ে থাকলে তার উত্তরাধিকারী কেউ যদি থাকে,
তিনি পত্রপাঠ নিম্নলিখিত ঠিকানায় উল্লিখিত ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করলে লাভজনক কোন
সংবাদ পেতে পারেন। নিজের পরিচয়ের প্রমাণস্বরূপ কিছু কাগজপত্র সঙ্গে আনতে হবে। —গদাই,
তোমাদের কাজ দেবার আগে তোমার মামার বাড়ি থেকে যা জেনে এসেছিলাম, তাতে মনে হচ্ছে অসিতবরণ
আচার্যের একমাত্র সন্তান অলোকশরণ তুমি, তাই ঠাকুরদার সম্পত্তির কিছুটা পাবে। ওই যে
নাম ঠিকানা দেওয়া আছে, ওঁরা তাঁদের উকিল। গিয়ে একবার খবর করলে ভাল হয়। কারণ কারখানায়
আমার জামাইকে একটা চাকরি না দিলেই নয়। অর্থাৎ ওদের চাকরিটা গেল।
এরপর আর কথা নয়। বড়দাদামশাই নিজেই লোক পাঠিয়ে দু’জনকে ধরিয়ে নিয়ে গেলেন।
কি হে, বেড়ালের ভাগ্যে শিকে ছিঁড়েছে মনে হচ্ছে। দুজনে গিয়ে একবার দেখেই এসো
না। তবে খুব বেশি আশা কোরো না। অনেকগুলো ওয়ারিশ। জঙ্গল কেটে কেটে কাঠের ব্যবসা করত
বুড়ো। তার কি আর খুব বেশি বাকি আছে? তবে মস্ত বাড়ি, মন্দির, অতিথিশালা, দেদার গুদামঘর
দেখেছিলাম।
গেল দুজনে প্যাসেঞ্জার গাড়িতে, সেকেন্ড ক্লাসে, কারণ থার্ড ক্লাস তো কবে উঠে
গেছে। কি ভাগ্যে বড়দাদামশাই দুজনার জন্যে দুটো করে মোটা নীল পেন্টেলুন আর লম্বা হাতা
গরম সোয়েটার কিনে দিয়েছিলেন। স্টেশন থেকে অর্ধেক পথ বাস যায়। সন্ধ্যাবেলায় একটা
বনের ধারে ওদের নামিয়ে দিয়ে ড্রাইভার বলল, বনের মধ্যে দিয়ে দশ কিলোমিটার পথ হাঁটতে
হবে। টর্চ আছে আশা করি, কারণ বুনো জানোয়ার যে একেবারে নেই তা নয়। ওদিকটা বুড়ো কেটে
সাফ করেছিল, সব জন্তু একদিকে জড়ো। হয়েছে। চোরাকারবারিদের পোয়া বারো।
বাস চলে গেলে চারদিকটা যেন বড় বেশি অন্ধকার বলে মনে হতে লাগল। ক্রমে সেটা চোখ
সওয়া হয়ে গেল, তারার আলোয় ওরা পথটা স্পষ্ট দেখতে পেল। টর্চের ব্যাটারি খরচ করতে
হল না। হয়তো ঘণ্টা দুই হেঁটেছে, নিজেদের মধ্যে কথা বলতে বলতে কখন থেমেও গেছে। তার
মধ্যে কানে এল কান্নার মতো একটা শব্দ। কেউ কষ্ট পাচ্ছে, এ ওরা সইতে পারত না। তাড়াতাড়ি
হাঁটা পথ ছেড়ে টর্চ জ্বেলে বনের মধ্যে ঢুকে, একটু এগোতেই একটা আশ্চর্য দৃশ্য চোখে
পড়ল। গাছতলায় কে একটা ছোট জানোয়ার ধরার দাঁত কল পেতে গেছে আর তাতে অদ্ভুত ফিকে প্রায়-রুপোলী
রঙের শেয়ালের একটা পা ধরা পড়েছে। সে করুণভাবে চারিদিকে চাইছে আর মানুষের ছেলের মতো
কাঁদছে। তার ঠিক পেছনে দাঁড়িয়ে ছাই রঙের শার্ট প্যান্ট পরা, সাদা দাড়িওয়ালা একজন
বুড়ো মানুষ কাতরভাবে তাকিয়ে আছেন। মনে হল বোধহয় পঙ্গু, তাই নিজে কিছু করতে পারছে
না।
ওদের কিছু বলতে হল না। ছুটে গিয়ে ফাঁদের দাঁত খুলে শেয়ালটাকে ছেড়ে দিতে ওদের
দু-মিনিটও লাগল না। আশ্চর্যের বিষয়, সঙ্গে সঙ্গে সে ছুটে পালাল না। পোষা কুকুরের মতো
ওদের গা ঘেঁষে, মুখ চেটে দিল। ওরা উঠে পড়লে তবে বনে ঢুকে পড়ল।
গদাই, খাঁদা বুড়ো মানুষটির দিকে চাইল। তিনি একটু একটু হাসছিলেন। তারপর বললেন,
তুমি আজ একটা ভাল কাজ করলে, তোমার নাম অলোকশরণ, অসিতবরণের একমাত্র সন্তান তুমি। অসিত
ভাল ব্যবহার করেনি, মনের দুঃখে তার মা অকালে মারা যান। উইলে তোমাকে সব চাইতে পুরনো
বড় গুদোম ছাড়া কিছু দেওয়া হয়নি। অপমান বোধ করে সেটি নিতে অস্বীকার কোরো না। ওর
মধ্যে যা আছে তার মূল্য তোমরাই বুঝবে। সুখী হয়ো দুজনে।
এই বলে বুড়ো এমনি হঠাৎ বনের অন্ধকারে ঢুকে গেলেন যে‚ মনে হল বুঝি বাতাসে মিলিয়ে গেলেন। ওরা এ-ওর মুখের দিকে একবার তাকিয়ে, আবার
হাঁটা ধরল। ভোরের আগে পাহাড়ের কোল ঘেঁষা নীলাম্বুনিধির কুঠিবাড়িতে ওরা পৌঁছেছিল।
ওদের আগেই কলকাতার উকিলমশাইও সেখানে পৌঁছেছিলেন। বাড়ির সকলেই গদাইয়ের নিকট আত্মীয়
হলেও, ওকে পেয়ে খুব একটা আহ্লাদ প্রকাশ করেনি। বরং একটু তাচ্ছিল্যের ভাব দেখা গেল।
কলকাতায় ওঁরা উকিলের সঙ্গে দেখা করে সব কথা জানিয়েছিলেন। তিনিও প্রয়োজন মতো অনুসন্ধান
করে, গদাইয়ের পরিচয় সম্বন্ধে নিশ্চিত হয়ে, তবে তাকে এখানে আসতে বলেছিলেন।
বড় বাড়িতে কেউ তাদের যায়নি, প্রায় পোড়োবাড়ির মতো অবস্থার অতিথিশালায় উঠে
হাত মুখ ধুয়ে ওরা উকিলবাবুর সঙ্গে গুদোম ঘরটার দখল নিতে চলল। তিনি হেসে বললেন, এ ঘরটিতে
যত রাজ্যের পুরনো ভাঙাচোরা মোটর গাড়িতে ঠাসা। বুড়োর ঐ এক শখ ছিল, যাকে বলে মোটরগাড়ি
পাগল। ওই ঘর আর তার মধ্যে যা কিছু ভাঙাচোরা ধনসম্পদ আছে, সবটার মালিক এখন তুমি।
এই বলে হাসতে হাসতে গুদোমের মস্ত লোহার দরজা খুলে দিলেন। আগে এটাই যে প্রকাণ্ড
গ্যারেজ ছিল, তাতে সন্দেহ নেই। শুধু ঠাকুরদা কেন, গদাইরাও গাড়ি পাগল, খাঁদাও।
দরজাটাকে হাট করে খুলে দিতেই ঘরটা সকালের আলোয় ভরে গেল। আর গদাই, খাঁদা নির্বাক
হয়ে তাকিয়ে দেখল যে প্রথম দিককার ছাদখোলা ফোর্ড গাড়ি থেকে আরম্ভ করে দশ বারোটা বিখ্যাত
বিদেশী গাড়ির কোনটা কম কোনটা বেশি ভাঙাচোরা অবস্থায় পড়ে আছে। আর সবার পেছনে চাটাই-চাপা
যেটা ছিল, সেটার ওপরকার চাটাই সরাতেই একটা হয়তো ১৯১০ সালের রোলস রয়েস অক্ষত দেহে
ঝকমক করতে লাগল।
তাই দেখে দুজনার মাথা ঘুরে গেল। তারা টলতে টলতে দুটো গাড়ির ধুলোয় ঢাকা ফুটবোর্ডে
ধপাধপ বসে পড়ল। এর জন্য উকিলবাবুও প্রস্তুত ছিলেন না। বুড়ো নাকি এদিকে কাউকেই আসতে
দিতেন না। নিজের লোক দিয়ে গাড়ির কাজ করাতেন।
উকিল বললেন, বাবা, আমি খুব খুশি হয়েছি। এবার তোমাদের দুঃখ ঘুচবে। তোমার বাবা
আমার ছোটবেলার বন্ধু ছিলেন।
গুদোমে আরেকটা জিনিস ছিল। দেয়ালের দিকে মুখ করা একটা বড় রঙিন ফটো। সেটা ঘুরাতেই
দেখা গেল, বনে দেখা সেই বুড়ো মানুষ আর তার কোলে বসা সেই সাদা শেয়াল। উকিল বললেন, ইনি
তোমার ঠাকুরদা। সাদা শেয়ালটাকে বনে কুড়িয়ে পেয়ে পুষেছিলেন।
এদেশে সাদা শেয়াল হয় না, ওটা অ্যালবিনো নয়, তবু ফিকে রং। তোমার ঠাকুরদা যেদিন
মারা গেলেন, শেয়ালটা বনে পালিয়ে গেল। যাই হোক এই গুদামে লাখ লাখ টাকার জিনিস আছে।
কাজে লাগিও।
খাঁদাও মন দিয়ে সব কথা শুনছিল, কিন্তু গদাই শেষটা কেন মুচ্ছো গেছিল, তা উকিলবাবু
বুঝে উঠতে পারেননি। খাঁদা পেরেছিল।
অসাধারণ।
ReplyDeleteKhub bhalo laglo!
ReplyDeleteমুগ্ধ হলাম।
ReplyDeleteঅসাধারণ সুন্দর
ReplyDelete